এ গন্ধর্ব্যপুর ইসলামিয়া (সিনিয়র) আলিম মাদ্রাসা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী, আরো গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ল্যাব ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং অত্যাধুনিকস্মার্ট ক্লাস রুম। । এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই।প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি প্রতিষ্ঠান।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ইসলাম আল্লাহ তাআলার একমাত্র পছন্দনীয় দ্বীন। এ দ্বীন পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব মানুষের। দ্বীন সংরক্ষণ করা দ্বীন প্রতিষ্ঠার একটি মৌলিক ও পূর্বশর্তমূলক কাজ। দ্বীন সংরক্ষণের প্রধান দিক হলো ইলমে দ্বীন তথা কুরআন ও সুন্নাহকে সংরক্ষণ করা। এ সুমহান লক্ষ্যে যুগে যুগে আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দারা ইলমে দ্বীনকে হেফাজত করার জন্য পৃথিবীর আনাচে কানাচে অসংখ্য মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। মক্তব, হিফজখানা, আলিয়া, কওমী ও দ্বীনিয়া মাদরাসাসহ সকল দ্বীনি মারকাজ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল ইলমে দ্বীনকে সংরক্ষণ করা। জ্ঞানার্জন ও আমলের মাধ্যমে ইলমে দ্বীন হেফাজতের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এ সকল মাদরাসার মধ্যে আলিয়া মাদরাসার বর্তমান অবস্থা বড়ই নাজুক। শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখন ইলমে দ্বীনের উচ্চতর শিক্ষা (ফাযিল ও কামিল) গ্রহণ থেকে বঞ্চিত।
যারাওবা গ্রহণ করছে তাদের অনেকেই আবার শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের জন্যে তা করছে। ক্লাসে বসে শিক্ষার্থীরা হাদীসের দরস গ্রহণ করবে বা শিক্ষকরা দরস প্রদান করবেন এটা এখন শুধুই ঐতিহ্য। হাতেগোনা কিছু কিছু আলিয়া মাদরাসায় এ ধারা জারী থাকলেও তাও প্রায় যায় যায় অবস্থা। এ দূরাবস্থার পিছনে যে সকল কারণ রয়েছে তন্মধ্যে শিক্ষার্থীদের দুনিয়ামুখিতা এবং আরবী ভাষা ও ব্যাকরণে তাদের দূর্বলতা অন্যতম। তাই আলিয়া মাদরাসার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে, ইলম ও আমলের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্য আলেম হিসেবে তৈরী করতে একটু ভিন্ন প্রয়াস প্রয়োজন। এ প্রয়াসেরই নাম “গন্ধব্যপুর ইসলামিয়া (সিনিয়র) আলিম মাদ্রাসা”।
এখানে শিক্ষার্থীদেরকে স্পেশাল কেয়ারের মাধ্যমে রুটিন মাফিক জীবন যাপন করতে সাহায্য করা হয়। তাকে আমলের প্রতি যত্নবান হতে উৎসাহিত করা হয়। আরবী ভাষা ও ব্যাকরণের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপের মাধ্যমে তাকে ইলমের স্বাদ পেতে সাহায্য করা হয়। ইলমের গভীরতা অর্জনের জন্য এবং বড় বড় কিতাব অধ্যয়নের যোগ্যতা সৃষ্টির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে আলিয়া, কওমী ও দ্বীনিয়া মাদরাসার সিলেবাসকে সমন্বয় করে পাঠদান করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণিতে পর্যায়ক্রমে উসূলে শাশী, নুরুল আনোয়ার, শরহে বেকায়া, হেদায়া, দুরুসুল বালাগাত, মুখতাসারুল মাআনী, মিরকাত, সুল্লামুল উলুম, শরহে তাহযীব, হেদায়াতুন্নাহু, কাফিয়া, শরহে জামী, ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার, মেশকাত, জালালাইন এবং সিহাহ সিত্তাহসহ গুরুত্বপূর্ণ আরবী মূল কিতাব বা–তাহকীক খতম করানো হয়। সাথে সাথে উর্দূও ফার্সী ভাষার সাথে পরিচয় করানো জন্য এ ভাষার প্রাথমিক কিতাবগুলোকে যত্নের সাথে পড়ানো হয়।
বিশেষ করে স্পোকেন ও গ্রামারটিক্যাল ইংলিশ যত্নের সাথে শেখানো হয়। একজন মাদরাসার শিক্ষার্থী যাতে সত্যিকারার্থে ইলমে দ্বীনের ধারক ও বাহক হতে পারে সে জন্যে ফরজের পাশাপাশি দৈনন্দিন নফল সালাত, কুরআন তেলাওয়াত, দরুদ ও জিকিরের অজীফা ইত্যাদি চর্চা করানো হয়। সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের সুস্থ বিনোদনের জন্য ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষাসফর ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। তাদের মেধা বিকাশের জন্য সাপ্তাহিক আলোচনা সভা, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ নানা বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আমাদের সুপরিকল্পিত পাঠদান সফলকাম হবে। আমরা আলিয়া মাদরাসার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবো ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আমাদের কাজে সহায় হোন। আমীন।
এই লক্ষকে বাস্তবায়নের জন্য গন্ধর্ব্যপুর ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা এ সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
এ মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী, আরো গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ল্যাব ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং অত্যাধুনিকস্মার্ট ক্লাস রুম। । এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই।প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি প্রতিষ্ঠান।
গন্ধব্যপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মৌলভী নুরুল্যাহ সাহেব, দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে উচ্চ ডিগ্রী অর্যন করে তৎকালিন পূর্ব বাংলায় তার নিজ জন্ম স্থান গন্ধব্যপুর গ্রামে জনগনের সহযোগীতায় ইসলামী শিক্ষার বিস্তার লাভের উদ্দেশ্যে উক্ত গ্রামে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পরবর্তিতে উক্ত প্রতিষ্ঠান ০১/০১/১৯১০ সালে গন্ধব্যপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা নামে পরিচিতি লাভ করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি আসাদ মিয়া ও রিয়াজ উদ্দিন মিয়া গং এর সম্মতিতে তাদের পৈত্রিক ভূমিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, উক্ত প্রতিষ্ঠান ১৯৪৩ সালে ইস্ট ব্যাঙ্গল সরকার কর্তিৃক অনুমতি/স্বীকৃতি প্রদান করে।
মাদ্রাসা সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার জন্য যারা অগ্রণী ভুমিকা পালন করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মরহুম মৌলভী অজি উল্যাহ, আমিনুল হক মিয়া, হারিছ মিয়া, মাহবুবুর রহমান মিয়া, ছায়েদ উল্যাহ, এবং আহছান উল্যাহ খাঁন সহ আরো অনেকে।
আর্থীক ভাবে সহযোগীতা করেন, কুতুবপুর নিবাসী, হাজী আব্দুল গনি, মৌলভী মোহাম্মদ উল্যাহ, হাজী আব্দুল হক ও মরহুম জয়নাল আবদীন।
মাদ্রাসা শিক্ষা সুন্দর ভাবে পরিচালনা ও শিক্ষার আলো বিস্তার করার জন্য, প্রতিষ্ঠান প্রদানের দায়িত্য পালন করেছিন, মরহুম মৌলভী নুরুল্যাহ সাহেব, মরহুম মাওলানা মৌলভী অজি উল্যাহ সাহেব, মাওলানা ইয়াছিন সাহেব, মাওলানা আক্তার আহাম্মদ সাহেব এবং মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব গন।
২৫/১২/২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্য ভার গ্রহন করেন, মাওলানা মোঃ ওমর ফারুক সাহেব। তিনি শিক্ষক মন্ডলী, গভর্নিং বডি এবং এলাকাবাসীকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষে ইসলামী শিক্ষার আলো বিস্তার সহ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের চেষ্ট করে যাচ্ছেন।
এ মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী, আরো গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ল্যাব ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং অত্যাধুনিকস্মার্ট ক্লাস রুম। । এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই।প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি ইসলামীক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান।
এ মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।